ব্রেকিং নিউজ
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে মাদারীপুরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদ সভা

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে মাদারীপুরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদ সভা

‘জাতির পিতার সম্মান, রাখবো মোরা অম্লান’ এই শ্লোগানে মাদারীপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল ১১টায় মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, মূর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়। কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের ঐতিহ্য-ইতিহাসকে স্মরণ করার জন্য ভাস্কর্য তৈরি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু মৌলবাদী গোষ্ঠী মূর্তি ও ভাস্কর্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে যারা সমালোচনা করেন তাদের মতো মৌলবাদী ও উগ্রবাদীর বাংলায় কোনো ঠাঁই নাই হুঁশিয়ারি দিয়ে সভায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।

এসময় জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, আজকে আমরা মাদারীপুর জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একত্রিত হয়েছি অবশ্যই একটি বিষয় আছে। এই বিষয়ে মুল বন্ধ উপস্থাপন করেছেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ অধ্যাপক রেবতী মোহন সরকার। তিনি অত্যান্ত চমৎকারভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা জানেন যে, কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে যে একটি ঘটনা ঘটেছে। আজ সারা বাংলাদেশে একযোগে সকল সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী ঢাকায় সকল ক্যাডাররা সম্মিলিতভাবে এই প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়েছেন। আমরা জেলা পর্যায়ে উপজেলা পর্যায়ে একযোগে একত্রিত হয়েছি। তিনি আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কিছু বলার জন্য, এটা দিনের পর দিন রাতের পর রাত বছরের পর বছর চলে গেলেও আলোচনা করলেও শেষ হবে না। তিনি হচ্ছেন মহা সমুদ্র।

সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে শুধু পোষ্টার বা দেয়াল ধারণ করলেই হবে না, বঙ্গবন্ধুকে বুকের মনিকোঠায় ধারণ করতে হবে। অনুষ্ঠানের অন্যান্য বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষাত্রে প্রয়োজনে যদি চাকরী চলে যায় তাও মেনে নেবো, এমন জালাময়ী বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের বক্তারা।

জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রশিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলাম, সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রীনা রানী বৈদ্য, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র দাস, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. এস.এস. খলিলুজ্জামানসহ অনেকেই।

---------